রংপুর: বদরগঞ্জের পৌর শহরের সিও রোডের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে শত বছরের একটি পাকুড় (অশ্বথ) গাছ। এই পাকুড় গাছের ডালে শিশু সন্তানকে বুকে আগলে ঝুলে রয়েছে হাজার হাজার বাদুড়। বাদুড়ের কলতানে সবসময় মুখর থাকে সিও রোড এলাকা।
গাছটির কাছেই রয়েছে বদরগঞ্জের সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম মসজিদ তামেরি জামে মসজিদ। সিও রোড পৌর শহরের প্রধান সড়ক হওয়ায় গাড়ি-ঘোড়া, মুসল্লি ও পথচারীদের পদচারণায় সবসময় মুখর থাকে। আর এই সড়ক পাড়ি দেওয়ার সময় সবার দৃষ্টি কাড়ে স্তন্যপায়ী এ প্রাণীগুলো।
সিও রোড এলাকার বাসিন্দা বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ছোট থেকে দেখছি এই পাকুড় গাছটির মগডালে শত শত বাদুড় ঝুলে থাকে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী এ প্রাণীগুলো দেখতে বেশ লাগে।
তিনি আরও বলেন, বাদুড়গুলোর যেনো কোন ক্ষতি না হয় এ এলাকার বাসিন্দারা সেদিকে খেয়াল রাখে। আর এ কারণেই এ পাকুড় গাছটি বাদুড়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা ভবেষ কুণ্ডু বলেন, বদরগঞ্জের কোথাও বাদুড় দেখা না গেলেও সিও রোডের এই গাছটিতে বাদুড় দেখা যায়।
এলাকার বাসিন্দা ভবেষ কুণ্ডু বলেন, বদরগঞ্জের কোথাও বাদুড় দেখা না গেলেও সিও রোডের এই গাছটিতে বাদুড় দেখা যায়।
সিও রোড মহল্লার বাসিন্দা বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও বদরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান মুক্তা বলেন, বিদেশি প্রজাতির গাছ রোপণ না করে আমাদের দেশীয় প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করতে হবে। তা না হলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী এই প্রাণীগুলোর আবাসস্থল ও খাদ্যের অভাবে একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
বদরগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য
রক্ষার্থে বাদুড় বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে বাদুড়ে খাওয়া ফলমূল থেকে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
বদরগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য
রক্ষার্থে বাদুড় বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে বাদুড়ে খাওয়া ফলমূল থেকে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্য(গুলি):